জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ কবে হবে
জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহের সময় জানতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম জানতে হবে
জ্যোতিষশাস্ত্র বা সংখ্যাতত্ত্ব সম্পর্কে। জ্যোতিষশাস্ত্র বা সংখ্যাতত্ত্বের
মাধ্যমে আমরা জানতে পারব জন্মতারিখ অনুযায়ী কবে বা কখন আমাদের বিয়ের সময়
হবে । এখানে ছেলেদের এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের সময় আলাদা হতে পারে। চলুন আমরা
জ্যোতিষশাস্ত্র বা সংখ্যাতত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করি।

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে বিবাহের সময় সম্পর্কে সঠিক এবং পূর্বাভাস পেতে
হলে অবশ্যই নিজের জন্মতারিখ এবং জন্মসাল জানা থাকতে হবে। এগুলা ভুল হলে
বিয়ের সময় নির্ধারণ ভুল হবে। তাই জন্মতারিখ অনুযায়ী বিয়ের সময় জানার ক্ষেত্রে
অবশ্যই জন্মতারিখ এবং জন্মসাল জানা থাকতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ
জ্যোতিষশাস্ত্র এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ঃ
জ্যোতিষশাস্ত্র হচ্ছে একটি ভবিষ্যৎবাণীমূলক পদ্ধতি যার মাধ্যমে মহাজাগতিক বস্তু
যেমন গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদির অবস্থান বিশ্লেষণ করে মানুসের ভাগ্য এবং পার্থিব
বিভিন্ন ঘটনার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র এর উৎপত্তি মেসোপটেমিয়া ও
ভারতে। জ্যোতিষশাস্ত্র প্রাচিঙ্কাল থেকেই চর্চা হয়ে আসছে। প্রাচীনকালে
জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান একই ছিল। জারা জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা করেন
তাদেরকে জ্যোতিষ বলা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর বিভিন্ন ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি ঃ
পৃথিবীতে অনেক ধর্ম রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্টান
ইত্যাদি। এই ধর্ম গুলোর মধ্যে জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় আবার হয় না।
উদহারনসরুপ বলা যাই ইসলাম ধর্মে জ্যোতিষ চর্চাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে । হাদিসে
জ্যোতিষ চর্চাকে জাদুবিদ্যার অংশ বলা হয়েছে তাই এই জ্যোতিষ চর্চাকে হারাম বলা
হয়েছে।
জ্যোতিষশাস্ত্র এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ঃ
জ্যোতিষশাস্ত্র ব্যাবহারের ফলে আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারি। যার
ফলে আমরা আমাদের জন্মতারিখ দিয়ে বিয়ে কবে কখন কিভাবে হবে এই বিষয়ে জানতে পারব। এর
ফলে আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে সুবিধা হবে। এটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য সহজ
একটি মাধ্যম।
আরো পড়ুনঃ
জ্যোতিষশাস্ত্র এর অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ঃ
জ্যোতিষশাস্ত্র ইসলামে নিসিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে যেই মানুষ এটি চর্চা করবে সে
মৃত্যুর পর জাহান্নামে যাবে। জ্যোতিষশাস্ত্র ইসলামে হুমকিস্বরূপ বিষয়। মুসলিমদের
উচিত এটি চর্চা করা থেকে বিরত থাকা এবং অপরকে এটি চর্চা থেকে বিরত রাখা। আমাদের
উচিত ইসলামে যা না করেছে তা থেকে বিরত থাকা।
শেষকথা ঃ
জ্যোতিষশাস্ত্র এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়। কখন কোথাই
কিভাবে বিয়ে হবে এই সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
জন্মতারিখ অনুযায়ী আমাদের কবে কখন বিয়ে হবে এই বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ


ইনফোবাজ বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url